শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

রাবি প্রশাসনের অপসারণ চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

রাবি প্রশাসনের অপসারণ চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার অপসারণ চেয়ে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশন রাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘আমরা “অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়” ব্যানারে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ভিসি, প্রো-ভিসিসহ বর্তমান প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যক্তির বর্গের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছি। শিক্ষার্থীদের এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ইউজিসিকে তদন্ত করার ভার দেয়। ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিনে দুই দফা তদন্ত করে ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্টারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্ত কমিটি ২০ ও ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দেয়।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের জন্য তিন ব্যক্তিকে দায়ী করা হয়েছে। তারা হলেন ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রার। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করেন উপাচার্যকে স্ব-পদে বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় সুচারুরূপে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও ভিসি, প্রো-ভিসিকে অপসারণ করার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না, যা আমাদেরকে আশাহত করেছে। যদিও কিছুদিন আগে রেজিস্ট্রার মহোদয় দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ভিসি ও প্রো-ভিসি কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো স্বপদে বহাল আছে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যেমন আমরা তা মেনে নিতে পারি না, তেমনি দেশের কোনো মানুষ এই অপরাধকে সহ্য করবেন না। ফলে আমরা আচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

আরও বলা হয়, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনের যেকোনো দায়িত্বে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় আর একদিনেও চলতে পারে না। এত বড় অপরাধ করার পর তাদের শিক্ষকতা করারও কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাই দ্রুত ভিসি, প্রো-ভিসিসহ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার দাবি করছি। অপসারণ না করা পর্যন্ত সকল প্রকার নিয়োগ স্থগিত করতে হবে। আগামী সাতদিনের মধ্যেই আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। নইলে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলনে লাগাতার কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবো। আমরা এও দাবি করছি ভিসি, প্রো-ভিসিকে অপসারণ করে রাকসু ও রেজিস্টার গ্রাজুয়েট নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেট পূর্ণাঙ্গ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিসি, প্রো-ভিসি নির্বাচন করতে হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশন রাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ শাখার সাংগঠনিক  সম্পাদক আমান উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান, রাকসু আন্দোলর মঞ্চের পক্ষে আলহাজ হোসেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877